ড্রাগন ফল (Hylocereus spp.) একটি বিরল এবং আকর্ষণীয় ফল, যার উৎপত্তি মধ্য আমেরিকা থেকে হলেও বর্তমানে এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মেক্সিকো এবং অন্যান্য উষ্ণ জলবায়ুর অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। এটি একটি ক্যাকটাস জাতীয় উদ্ভিদে জন্মায় যা লতানো ও রোদের পরিবেশে ভালো বেড়ে ওঠে।
ড্রাগন ফলে প্রধানত তিন ধরনের রঙের বৈচিত্র্য দেখা যায়:
- সাদা শাঁসযুক্ত ড্রাগন ফল (গোলাপি ছাল, সাদা শাঁস)
- লাল শাঁসযুক্ত ড্রাগন ফল (গোলাপি ছাল, লাল শাঁস)
- হলুদ ড্রাগন ফল (হলুদ ছাল, সাদা শাঁস)
এর বাইরের অংশ ড্রাগনের আঁশের মতো হওয়ায় একে ড্রাগন ফল বলা হয়। ভিতরের অংশ নরম, জুসি এবং হালকা মিষ্টি স্বাদের, এবং এর গঠন অনেকটা কিউই ফলের মতো, কারণ ভিতরে ছোট ছোট খাওয়ার উপযোগী বীজ থাকে।
পুষ্টিগুণের দিক থেকে ড্রাগন ফল কম ক্যালোরিযুক্ত হলেও অনেক উপকারী উপাদানে ভরপুর:
- ভিটামিন সি যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- ডায়েটারি ফাইবার যা হজমে সহায়তা করে
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস (যেমন বেটালাইন ও ফ্ল্যাভোনয়েডস), যা শরীরের কোষকে রক্ষা করে
- আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম, যা শক্তি উৎপাদন ও পেশি কার্যকারিতায় সাহায্য করে
ড্রাগন ফল সাধারণত কেটে সরাসরি খাওয়া হয়, আবার স্মুদি, ফলের সালাদ, জুস ও ডেজার্টেও ব্যবহার করা যায়। এটি ঠান্ডা ও রিফ্রেশিং হওয়ায় গরম আবহাওয়ায় বিশেষ জনপ্রিয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একে একটি সুপারফুড হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে।
খাওয়ার জন্য খুব সহজ—ফলটিকে মাঝ বরাবর কেটে চামচ দিয়ে শাঁস তুলে খাওয়া যায়। তবে ছাল খাওয়ার উপযোগী নয়।
Reviews
There are no reviews yet.